কুলম্বের সূত্র কেন কেবলমাত্র বিন্দু আধান-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
কুলম্বের সূত্র হল পদার্থবিজ্ঞানের এমন একটি সূত্র যা দুটি আধানের আকর্ষণ বিকর্ষণ এর স্বরূপ ব্যাখ্যা করে। এই সূত্র নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের সদৃশ।
কুলম্বের দ্বিতীয় সূত্র: দুইটি বিন্দু আধানের মধ্যে সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বিকর্ষণ বলের মান আধান দ্বয়ের পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
কুলম্বের সূত্র এর ব্যবহার পরমাণুর মধ্যেও আছে। পারমাণবিক নিউক্লিয়াস এর ধনাত্মক চার্জ এবং ইলেকট্রনের প্রতিটি ঋণাত্মক চার্জ এর মধ্যবর্তী বলকে নির্ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে এটি ব্যবহৃত হয়। অণু হতে পরমাণুকে একত্রে আলাদা করা; কঠিন ও তরল হতে অণু -পরমাণু একত্রীকরণে এই সহজ সূত্রটি দারা নির্ভুলভাবে হিসাব পাওয়া যায়।যেহেতু, আয়ন এর মাঝে দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়া, আকর্ষণ শক্তি শুন্যের কাছাকাছি।
উপরন্তু, আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান শূন্যের কাছাকাছি হলে। আকর্ষণ বা বিকর্ষণ এর মান শূন্যের কাছাকাছি হবে, যখন আধানের মধ্যবর্তী দূরত্বের তুলনায় আধন দ্বয় নগণ্য হলে। এই বাক্যটিকে এভাবে বলা যেতে পারে যে, আধান দ্বয় মধ্যবর্তী দূরত্বের তুলনায় নগণ্য হলে নিশ্চিতভাবে মধ্যবর্তী দূরত্ব বেশি হবে। তাই কুলম্বের সূত্র কেবলমাত্র বিন্দু আধান এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান অর্থাৎ কুলম্বীয় বলের মান শূন্য বা শূন্যের কাছাকাছি না হয় যদি বেশি হয় তবে এখানে নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্রটি ব্যবহৃত হতো।
Recent Comments